শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম |
টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসা |
সংক্ষিপ্ত বর্ণনা |
বৃটিশ শাসন আমলের শেষের দিকে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঢেউ এবং শিক্ষার যে জাগরণ মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছিল টাঙ্গাইলের মাটিতেও তার পরশ লাগে, জাগতে শুরু হয় ঘুমন্ত গোলাপকুড়ি "মুসলিম সমাজ"। টাঙ্গাইলের মুসলিম নেতৃবৃন্দের অন্যতম সর্বজনাব মাওঃ হেকিম হবিবুর রহমান, আহম্মদ আলী মোক্তার, আঃ ছামাদ উকিল, আঃ জলিল খান, মির্জা আশরাফ আলী, মৌলভী রমজান আলী, সাদেক রেজা, শওকত আলী তালুকদার, মোঃ জিন্নত আলী প্রমুখ একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে অনুভব করলেন। মুসলমানদের ধর্মীয়, বৈষয়িক শিক্ষার দৈন্যতা তথা একটি সুস্থ ও দুরদর্শি চিন্তার ফসল হিসেবে তারা ভাবলেন একটি ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা। উলেখিথ ধর্ম হিতৈষী ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে টাঙ্গাইল জুনিয়র মাদরাসার একটি পরিচালনা পরিষদ গঠন করা হয়। ১৯২৬ ইং সনের কোন এক শুভ ক্ষণে শুভ দিনে সবাই মিলে মাদরাসার ভিত্তি স্থাপন করলেন টাঙ্গাইল" জুনিয়র মাদরাসা" নামে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান। এ কাজে এগিয়ে এলেন দেলদুয়ারের জমিদার আব্দুল হাকিম খান গজনবীর পুত্র আব্দুল হালিম গজনবী। তিনি টাঙ্গাইল জুনিয়র মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটিকে মাদরাসা স্থাপনের জন্য ১৯২৭ সালের ৮ আগষ্ট মোতাবেক ১৩৩৪ বাংলা সনের ২৩শে শ্রাবন ৩৩ (তেতত্রিশ) শতাংশ জমি দান করলেন। সেই থেকে হাটি হাটি পা পা করে যাত্রা শুরুহল আজকের এই বিশাল বিদ্যাপিঠ " টাঙ্গাইল দারুল উলুম কামিল মাদরাসা।" |
প্রতিষ্ঠা কাল |
০২-০১-১৯৫৯খ্রিঃ |
সংক্ষিপ্ত ইতিহাস |
জুনিয়র মাদরাসা বেসরকারী পরিচালনা ও বেতন ভাতায় কোন রকম ভাবে ১৯৫৮ সন পর্যন্ত চলতে থাকে। পরবর্তীতে পূর্ব পাকিস্তান মাদরাসা বোর্ডের ডেপুটি ইনস্পেকটর বরাবর আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিদর্শক পূর্বক তিনি ০৫.১১.৫৯ইং তারিখ ৫০৭১ (৪) স্বারকমূলে ০১.০৬.৫৯ তারিখ হইতে মঞ্জুরী প্রদান করেন। পরবর্তীতৈ ০১.০৭.৬৩ইং তারিখ হইতে আলিম, ০১.০৬.৬৪ ইং তারিখ হইতে ফাযিল এবং ০১.০৬.৬৬ ইং তারিখ হইতে কামিল শ্রেণীতে মঞ্জুরীপ্রাপ্ত হয়। প্রতিবছর ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি ও পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক হওয়ায় বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এর কারিকুলাম মোতাবেক ০১.০৬.৭৬ ইং তারিক হইতে আলিম শ্রেণীতে বিজ্ঞান এবং ০১.০৬.৮০ ইং তারিখ হইতে দাখিল শ্রেণীতে বিজ্ঞান বিভাগ চালু করা হয়। তদুপরি বর্তমান আধুনিক ও বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসার ঘটান চাহিদা মোতাবেক ২০০৩ইং সনে কম্পিউটার বিজ্ঞান খোলা হয় এবং মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে একাধিক বার এ প্রতিষ্ঠানটি জেলার শ্রেষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সনদ প্রাপ্ত হয়েছে। মাদরাসাটি এবতেদায়ী ১ম শ্রেণী হতে কামিল শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী অধ্যয়ণ করছে। ফাযিল পর্যায়ে অনার্স কোর্স ও ফাজিল পাস কোর্স চালু আছে। কামিল পর্যায়ে কামিল মাস্টার্স এবং কামিল হাদীস ও তাফসির বিভাগ চালু আছে। প্রতি বৎসর সকল শ্রেণিতে পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ ৫.০০ সহ শতভাগ সন্তোষ জনক ফলাফল অর্জন করে আসছে। প্রায় ৬০ (ষাট) বৎসর যাবৎ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষা অত্যন্ত সুনামের সাথে নকল মুক্ত পরিবেশে সু-সম্পন্ন হয়ে আসছে। অত্র পতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়নে এক বৈপ্লবিক ও ঈর্ষনিয় পরিবর্তন দৃশ্যমান। আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি বিষয়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যায় থেকে ডিগ্রীধারী সুনামধন্য পর্যাপ্ত শিক্ষক রয়েছেন, তাদের তত্যাবধানে আমাদের শিক্ষা কার্যক্রম অত্যান্ত সুনামের সাথে পরিচালনা হয়ে আসছে। |